Number of innovations would we stay on this site soon --- Number of innovations would we stay on this site soon.

Friday, June 22, 2012

বকশীগঞ্জে মহিলা মার্কেটের দোকান বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি



স্বজনপ্রীতি ব্যাপক অনিয়ম সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির মাধ্যমে বকশীগঞ্জে মহিলা মার্কেটের দোকান বরাদ্দ দিতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে প্রকৃত মহিলা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। 
জানা গেছে এলজিইডির অর্থায়নে আরআইপি-২  বকশীগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে নির্মিত পনর লাখ টাকার ব্যয়ে ৮ কক্ষ বিশিষ্ট অর্ধপাকা এই সরকারি মার্কেটটি মাসিক প্রতিকি মূল্যে ভাড়ায় প্রকৃত মহিলা ব্যবসায়ীদের নামে বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। মার্কেটের কার্যক্রম শুরু করার জন্য এই এলাকার এমপি ও তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ২০১১ সালের ১৫ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মহিলা মার্কেটের উদ্ভোধন করেন। নিয়ম অনুযায়ি এই মার্কেটে যে সমস্ত মহিলা ব্যবসার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, পরিবার প্রধান মহিলা, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মহিলা সদস্য, এবং অর্থনৈতিকভাবে বেকারগ্রস্ত মহিলারা বরাদ্দ পাবে। কিন্তু এই বরাদ্দ নিয়ে বছরব্যাপী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ধরকষাকষি হচ্ছিল। অবশেষে শাসক দল ২টি মুক্তিযোদ্ধা ১টি উপজেলা চেয়ারম্যান ১টি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ৪টি কক্ষ ভাগ-বাটোয়ার সমঝতা হয়। এই প্রেক্ষিতে সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট-ইজারাদার কমিটির সভাপতি ফখরুজ্জামান মতিন দোকান বরাদ্দের জন্য গত ১৫ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ৮ কক্ষ বিশিষ্ট ওই মহিলা মার্কেটের দোকান বরাদ্দের জন্য ৫৬ টি আবেদন জমা পড়ে। মহিলা ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে সদর বাজার ইজারাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের এক অন্যতম নেতার স্ত্রী, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতার শ্যালিকা ও এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সরকারি অবসর প্রাপ্ত চাকুরীজীবিকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মার্কেটের অন্যান্য কক্ষ বরাদ্দে সাড়ে তিন থেকে ৪ লাখ টাকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দু’এক জন বাদে প্রত্যেকের স্বামী কোটি টাকার ব্যবসায়ী মালিক। এই মার্কেট বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি অনিয়মের বিষয়ে একাধিক আবেদনকারী অভিযোগ দায়ের করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে প্রকৃত মহিলা ব্যবসায়ী আবেদনকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট-ইজারাদার কমিটির সভাপতি ফখরুজ্জামান মতিন টাকা নেওয়া কথা অস্বীকার করে বলেন মার্কেট বরাদ্দ কোন অনিয়ম হয়নি।

0 comments:

Post a Comment