Number of innovations would we stay on this site soon --- Number of innovations would we stay on this site soon.

Thursday, February 2, 2012

চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান



ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেনা। ফলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার পুরান বাট্রাজোড় গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান (৫৮) দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে ৭১-এ মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। ওই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের বকশীগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের বিভিন্ন রণাঙ্গনে সাধারণ যুদ্ধের পাশাপাশি একাধিক সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। রৌমারীর কোদাল কাটি এলাকায় রাজাকারের ক্যাম্পে হামলা করেন। ওই হামলায় শক্রপক্ষের বুলেটের আঘাতে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। এই মুক্তিযোদ্ধা ৭১ -এ অসীম বীরত্বে সফল হলেও বর্তমানে জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক। তিন মাস পূর্বে তার শরীরে ব্ল¬াড ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। প্রতি সপ্তাহে তাকে ২-৩ পাউন্ড রক্ত দিতে হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২ সপ্তাহ রক্ত দিতে পারলেও অর্থের অভাবে আর সম্ভব হয়নি। অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা তার পক্ষে যোগার করা কল্পনাতীত। বতর্মান অসুস্থ্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান অসহায় হয়ে ঝুপরি ঘরে বিছনায় শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তার চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। নিস্বঃ আব্দুর রহমান বিনা চিকিৎসায় অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করেন। রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান আব্দুর রহমান। কিন্তু অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছেনা। কান্না জড়িত কন্ঠে আব্দুর রহমান বলেন, আমি বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন মানচিত্র প্রতিষ্ঠার অংশীদার। কিন্তু স্বাধীনতার পর অভাবের তাড়নায় কখনও স্বচ্ছল ভাবে চলতে পারিনি। গায়ে জোর থাকতে ছোট একটি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। যে দলের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে শক্রকে পরাজিত করেছি সেই দল আজ ক্ষমতায়। অথচ আমার খোজ কেউ রাখেনা। আবদুর রহমান বলেন আমি আরও কিছু দিন বাচাঁতে চাই, আমাকে বাচাঁর সুযোগ দিন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এর স্ত্রী রোজিয়া খাতুর জানান তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন নিবেদন করেছি। কিস্তু কোন সাড়া মেলেনি। আব্দুর রহমানের চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রী সবার কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা আব্দুর রহমান,  সঞ্চয়ী হিসাব নং ৮৩৯৯, অগ্রনী ব্যাংক, শেরপুর শাখা, শেরপুর।

0 comments:

Post a Comment